এলোপ্যাথিক উপায়ে

যে কোন নেশাদ্রব্য ছাড়ার পর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণ দেখা যায়, সেটাকে "উইথড্রয়াল সিম্পটমস" বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই "উইথড্রয়াল সিম্পটমস" খুব কষ্টকর ব্যাপার যার জন্য মানুষ নেশা ছাড়তে ভয় পায়।
নেশা ছাড়ার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ঔষধ দিয়ে "উইথড্রয়াল সিম্পটমস"কে প্রশমিত করা।এই স্টেজকে "ডিটক্সিফিকেসন" বলা হয়।সাধারনত ০৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।পরবর্তী পদক্ষেপকে "মেইনটেনেন্স স্টেজ" বলা হয় । এই স্টেজে কিছু বিশেষ ধরনের ঔষধ দিয়ে ব্যক্তির নেশার প্রতি আসক্তি কম করা হয়।এই ঔষধটি দীর্ঘদিন সময় ধরে চালু থাকে এবং নেশার বিরুদ্ধে বর্ম হিসাবে কাজ করে।এই ঔষধ চলার সময় ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়।
আকুপাংচার উপায়ে

এটি খুব ব্যয় সাপেক্ষ।"ইয়ার আকুপাংচার" পদ্ধতিতে সুরক্ষিত উপায়ে "উইথড্রয়াল সিম্পটমস" প্রশমিত করা যায়।নেশামিত্র প্রোগ্রামের আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা নেশা মুক্তির জন্য এই বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োগ করেন এবং অন্যদের প্রশিক্ষিতও করেন।
সাইকোলোজিক্যাল উপায়ে

নেশাগ্রস্ত লোকদের সাইকোলোজিক্যাল চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিদদের গবেষণায় দেখা গেছে যে নেশাগ্রস্ত লোকেদের বিচারধারা, অাবেগ, "কপি" করার ক্ষমতা এবং ওদের ব্যক্তিত্বের এক বিশেষ ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।ওদের আত্মসম্মানবোধ এবং আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে পৌঁছে যায়।সাইকোলজিকেল পদ্ধতিতে এইসব শিক্ষক সূক্ষ্ম বিষয়ে গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং ধীরে ধীরে এর "ফাইন টিউন" করাতে সাহায্য করা হয়, অন্যথায় নেশা ছাড়ার পরও নেশার দিকে ফিরে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
শারীরিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা

নেশা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে যেমন লিভার সমস্যা, হার্টের সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা, ডায়াবেটিস সমস্যা, গুরুতর যৌন সংক্রামক ব্যাধি ইত্যাদি। অতএব নেশাগ্রস্থ লোকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অবশ্যই প্রয়োজনীয়।